ডেঙ্গু পরীক্ষায় ১২০০ টাকা নিচ্ছে ক্লিনিকগুলো

গত তিনদিনে জ্বর নিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। তারা সবাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তাদের চিকিৎসা চলছে বল জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত ২৬ থেকে ২৮ জুলাই হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হন ২০ জন। এদের মধ্যে একজন অন্যত্র চলে যান। বাকি ১৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা। তবে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়া রোগীদের কেউই টাঙ্গাইলে আক্রান্ত হননি বলে জানান তিনি

ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, শরীরে জ্বর নিয়ে ২৬ জুলাই একজন, ২৭ জুলাই ১৪ জন এবং ২৮ পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে ১৯ জন টাঙ্গাইল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও একজন অন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই ঢাকা থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তবে হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগ নির্ণয়ের কোনো যন্ত্রপাতি না থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যা হয়। এ অবস্থায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় আমাদের।

এছাড়া জ্বর হলেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

তবে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা না থাকায় শহরের ক্লিনিকগুলোর ওপর ভরসা করতে হয় জ্বরে আক্রান্তদের। শহরে মাত্র ৩-৪টি ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করা হয়। এ কারণে প্রচুর ভিড় ক্লিনিকগুলোতে। এই সুযোগে ক্লিনিকগুলো প্রতি রোগীর কাছ থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ১২০০ টাকা করে নিচ্ছে।

তবে ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহিম রিপন বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সরকারিভাবে ৫০০ টাকা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এর বেশি টাকা নিলে অবশ্যয় ওসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডে সাতজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন গোপালপুর থানার মুকিন্দবাড়ী গ্রামের রাসেল, নাগরপুর থানার ঘূর্ণিবাড়ী গ্রামের আশিক, সদর থানার বেলতা গ্রামের তানভীর হাসান, বিশ্বাস বেতকা গ্রামের আব্দুস সালাম খান, মির্জাপুর থানার গুল্লি গ্রামের জোবায়ের ও দেলদুয়ার থানার এলাসিন গ্রামের শুভ সাহা। এদের সবার কর্মস্থল ঢাকায়। তবে বাসাইল থানার বাথুলী সাদী গ্রামের মিজান খান নিজের বাড়িতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।


Leave a Reply