যারা নোংরা তারা আমার মত সুন্দরীকে চোখে দেখেনা

লারা লোটাস। পুরোদস্তুর অভিনেত্রী। কিন্তু শুরুটা অভিনয় দিয়ে ছিল না। অভিনয়ের আগেই টেলিভিশন পর্দায় লারার মুখ দেখা যায়। তবে সেটা ভিন্ন কাজের জন্য। যা-ই হোক, এখন লারা লোটাসের কোনো খবর নেই। জানতে চাওয়া হয়েছিল কোনো সংবাদ? না, সংবাদ নেই। এককথায় উত্তর দিয়েছিলেন লারা।

হ্যাঁ, মিডিয়ায় লারা ফের নীরব, অনবেকটাই নিষ্ক্রিয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব। নিয়মিত ছবি পোস্ট করেন। অভিমত দেন। এক-দুই লাইনে কঠিন সত্যগুলো বলে ফেলেন। এই যেমন গ্রামে বেড়াতে গিয়েছেন। সেখানে অন্তত ২৬-২৭টি ছবি পোস্ট করেছেন। নিজের ইচ্ছামতো পোজ দিয়েছেন, যেন ফিরে গিয়েছেন শৈশবে। আর সেসব ছবির ক্যাপশনটাই অর্থপূর্ণ। লিখেছেন, যারা নোংরা ছাড়া কিছুই ভাবতে পারে না, তাদের চোখে সুন্দর কখনো ধরা দেয় না।

নেটিজেনরাও সরব হয়েছেন। দিয়েছেন প্রশ্নের উত্তর। একজন লিখেছেন, ‘দেখার চোখ কজনের আছে?’ অনেকেই লারার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন মতের কথা। ছবির সঙ্গে মিলিয়ে একজন লিখছেন, ‘অনেক দিন পর সুন্দর কিছু দেখলাম, অনেক সুন্দর লাগছে তোমাকে, এ যেন প্রকৃতির মাঝে এক প্রজাপতি উড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

লারা এখন নীরব হলেও শুরুটা ছিল কিন্তু অনেক আগে। লারা ও বড় বোন দুজনেই কাজ করতেন একুশে টিভিতে। তখন একুশে টেলিভিশন বেশ জনপ্রিয়। সারা দেশের মানুষ টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের কারণে একুশে টেলিভিশন দেখতে পায়। সেখানেই তিনি খবর পাঠ করতেন। মূলধারার খবর নয়, ঠিক মুক্ত খবরের মতোই একুশে অর্থনৈতিক নিউজ পরিক্রমায় দেখা যেত লারা লোটাসের মুখ। কচি মুখ এখন হয়তো অনেকেই মনে করতে পারবেন না। পারবেনই বা কিভাবে? তখন ছিলেন তিনি স্কুলের শিক্ষার্থী।

সংবাদ পাঠিকা থেকে অভিনেত্রী! কিভাবে? একুশে টিভিতে কাজ করার সময়ই লারার কাছে একটা এক ঘণ্টার নাটকের অফার আসে। কাজী ইলিয়াস কল্লোলের পরিচালনায় নাটকের নাম ‘বোধ’। কিছু না ভেবেই করে ফেললেন অভিনয়। এরপর অনিমেষ আইচের কুফা নাটকেও মূল চরিত্রে অভিনয় করেন।  তারপর ‘চোর এসে বই পড়েছিল’। যেন খুব দ্রুতই এগিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ফ্যাশন ডিজাইনে পড়ালেখা শেষ করে ফেলেছেন লারা। নিয়েছেন ভারত থেকেও ডিগ্রি।

Leave a Reply