বিয়ে করছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও শুরু করলেন নতুন ইনিংস

আবারো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। তার জন্য পরিবার থেকে পাত্রী দেখা হচ্ছে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিয়ে করবেন তিনি। এমনটাই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন শাকিব।

শাকিব বলেছেন, চলার পথে একান্ত আপন কারো সহযোগিতা সবার প্রয়োজন, তাই পরিবার আমার জন্য পাত্রী খুঁজছে। হাতের সব কাজ শেষ করে হয়তো আগামী বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারি।

যদিও শাকিব খানের এমন বক্তব্য নতুন নয়। বিয়ে প্রসঙ্গে প্রায়ই তিনি এই একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে আসছেন গেল কয়েক বছর।

এর আগে ২০০৮ সালে অপু বিশ্বাসকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব। প্রায় ১০ বছর পর বাচ্চাসহ সেই খবর প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন অপু। যেটা শাকিবের মোটেই পছন্দ হয়নি। এরপর সেবছরই অর্থাৎ ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ হয় এই তারকা দম্পতির। সাবেক এ দম্পতির আব্রাম খান জয় নামে এক পুত্রসন্তান আছে।

চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে নতুন যাত্রা শুরু করলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। আগেই জানিয়েছিলেন প্রযোজনায় আসছেন তিনি। ‘লাল শাড়ি’র জন্য আবেদন করেছিলেন সরকারি অনুদানের।

চলতি বছর সেটার অনুমতি পেয়েছেন। এবার হাতে পেলেন প্রযোজনার প্রথম সরকারি লগ্নি। ফলে ছবি শুরু করতে প্রাথমিক সব ধরনের সহযোগিতা পেলেন এই তারকা।

বুধবার (২০ জুলাই) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অপু বিশ্বাসের হাতে অনুদানের প্রথম কিস্তির চেক তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মকবুল হোসেন। এরপরই সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে অপু বিশ্বাস জানান, এর মাধ্যমে নতুন পথচলা শুরু হলো। এজন্য সবার দোয়াও চেয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘নিউ জার্নি, নিউ লাইফ, সবার কাছে দোয়া চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলা চলচ্চিত্রের পাশে থাকার জন্য, আশা করি সবসময় বাংলা চলচ্চিত্রের পাশে এভাবেই আপনাকে পাব। জয় হোক বাংলা চলচ্চিত্রের।’

‘লাল শাড়ি’ নামের সিনেমাটি নির্মাণ করবেন পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস। সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া ৬৫ লাখ টাকার সঙ্গে প্রয়োজনভেদে আরও অর্থ যোগ করতে পারবেন অপু। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিনেমাটি নির্মাণ শেষে মুক্তি দিতে হবে।

২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ১৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং দুটি প্রামাণ্যচিত্রের জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এগুলোর প্রস্তাবকদের হাতে প্রতিটি চলচ্চিত্রের জন্য মঞ্জুর হওয়া মোট অনুদানের ৩০ শতাংশের চেক তুলে দেওয়া হয়।

Leave a Reply