মেয়েদের ‘কুমারী’ না বলার নির্দেশ হাইকোর্টের

এখন থেকে কাবিননামায় নারীর নামের আগে কুমারীর পরিবর্তে লিখতে হবে অবিবাহিত। পুরুষের ক্ষেত্রেও স্পষ্ট করতে হবে বৈবাহিক অবস্থা। এমন নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, কাবিননামায় কন্যা কুমারী সংক্রান্ত কলাম বৈষম্যমূলক। এ রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে দেখছেন আইনজীবীরা।

বিয়েকে একটি সামাজিক চুক্তি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। যে চুক্তি সম্পাদন হয় কাবিননামার মাধ্যমে। কিন্তু কাবিননামায় কন্যা কুমারী কিনা এ বিষয়টি উল্লেখ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে চলছিল আইনি বিতর্ক।

রোববার কাবিননামার এ বিধান বৈষম্যমূলক বলে রায় দিলেন দেশের উচ্চ আদালত। আদালত বলেছেন, এখন থেকে কুমারীর স্থলে অবিবাহিত শব্দ লিখতে হবে। এছাড়া বাকি বিধান আগের মতোই থাকবে। নারীর ক্ষেত্রে যে বিধান হবে পুরুষের ক্ষেত্রেও একই বিধান মানতে হবে বলেও রায় দিয়েছেন আদালত।

আইনজীবী অ্যাড. জেড আই খান পান্না বলেন, কুমারী শব্দ থাকাটা আসলে ঠিক না। সেটা বাদ দেয়া আর ৪ নম্বর কলামে বরের বিষয়েও একই থাকবে।

যদিও কুমারী শব্দটি উঠিয়ে দেয়ার বিপক্ষে শুনানি করেছেন একজন নারী আইনজীবী। তার আবেদন ছিলো, পুরুষের ক্ষেত্রেও এ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

আইনজীবী ইসরাত হাসান বলেন, কুমারী শব্দটা না থাকলে তখন পরিষ্কার হয় না, যে আগে ছেলে মেয়ে আছে কি নাই। এছাড়া বিয়ের পরদিনই যদি ছেলেমেয়ে হয় তাহলে তার অভিভাবক হয়ে যাবে, যার সাথে বিয়ে হয়েছে তিনি।

আইনজীবীরা বলছেন, একজন নারী বা পুরুষ কুমারী বা কুমার কিনা এটি একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। কাবিননামার মতো নথিতে এ ধরণের বিষয় উল্লেখ থাকা সমীচীন নয়। সময় টিভি নিউজ।

Leave a Reply