হাসপাতালের বিল পরিশোধ করার পর জানতে পারলেন স্ত্রী মারা গেছে

নারায়ণগঞ্জ শহরের শহরের চাষাড়ায় কেয়ার জেনারেল হসপিটালে ডাক্তারের ভুলচিকিৎসায় মিলি আক্তার নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মাথা ব্যথা নিয়ে তিনি হসপিটালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বিকেএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুকের মালিকানাধিন কেয়ার জেনারেল হসপিটালে ওই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রোগীর ক্ষুব্ধ স্বজনেরা হসপিটাল ভাঙচুর চালিয়েছে।
নিহত মিলি বেগম ফতুল্লা থানাধীন শিবুমার্কেট পশ্চিম লামাপাড়া এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী শাহ আলম বলেন, মিলির কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড মাথা ব্যথার জন্য মেডিসিন ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহের আলীকে দেখাই। তার পরামর্শ অনুযায়ী রাত পৌনে ১১টায় কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করি। ব্যথা না কমায় সোমবার ৩টার দিকে আবারও ডাক্তার ডাকতে গেলে হাসপাতালের লোকজন আবারও ওষুধ আনতে পাঠায়। ওষুধ নিয়ে আসার আগেই আমার স্ত্রীকে হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ফেলে। আর বলে দ্রুত হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন আপনার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। বিল পরিশোধ করার পর হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলে আমার স্ত্রী মারা গেছে।

তিনি বলেন, ওই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও টাকার জন্য হাসপাতালের লোকজন আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। হাসপাতাল থেকে সকালে ঢাকা নিতে দিলে আমার স্ত্রী মরতো না। ওরা টাকার জন্য আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলছে। আমি এর বিচার চাই।

হাসপাতালের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু বক্কর বলেন, ডা. জাহের আলীর নির্দেশে রোগীকে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখানে আসেননি। পরে তার পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে ব্রেইন স্ট্রোক করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ দিকে মিলি কেয়ার হাসপাতালে কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তা জানাতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্টাফ জানান, ডা. ফয়সাল নামে এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন মিলি। তবে ডা. ফয়সালকে হাসাপাতালের কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি হাসপাতালের কেউ তার ফোন নম্বরটিও দিতে রাজি হননি।

মাসুদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা ধারণা করছি মিলি আক্তার তিনটার আগেই মারা গেছেন। বিষয়টি তারা আড়াল করেছেন।

অন্যদিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তবে, নিহতের লাশ স্বজনেরা বুঝে নিয়ে গেছে। কেউ এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করেনি।

Leave a Reply