মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ পুরোদমে শুরু করার পরিকল্পনা চলছে

করোনাভাইরাসের প্রভাবে থমকে থাকা দেশের মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ আবারও পুরোদমে শুরু করার পরিকল্পনা চলছে। সরকারের ১০ মেগা প্রকল্পের মধ্যে ৫টির কাজ বর্তমানে পুরো বন্ধ আছে। সেগুলোর কাজ শুরুর তাগিদ দেয়া হয়েছে।

তবে, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এসময় মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে সেগুলো করোনা পরবর্তী সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে ব্যয় করলে সরকার লাভবান হবে।

ঘরবন্ধি মানুষ, বাইরের দুনিয়ার সাথে আঁড়ি। ন্যানোমিটার ব্যাসার্ধের মিনি ভাইরাসের কাছে নত দেশের সব মেগা প্রজেক্ট।

দিনরাত যন্ত্রের বিকট শব্দ নেই, চারদিকে সুনসান নিরবতা। ঢাকার রাজপথে চলতে গেলে চেনা সেই কর্মযজ্ঞ নেই। দেশের চলমান ১০টি মেগাপ্রকল্পের ৫টিরই কাজ এখন পুরো বন্ধ আছে, বাকী ৫টির কাজও চলছে সীমিত পরিসরে।

এসব কাজের প্রকৌশলী, পরামর্শক এবং মালামাল-তিনটি বিষয়েই নির্ভর করতে হয় বিদেশের ওপর। তাদের অনেকে চলে গেছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন বেশিরভাগ দেশি শ্রমিক। ২৪ ঘণ্টা আবাসিক সুবিধা দিয়ে কাজ চলছে কোথাও কোথাও।

কাজ পিছিয়ে গেলেও শিগগিরই পুরোদমে শুরুর কথা বলছেন প্রকল্প পরিচালকরা।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কনসালটেন্ট কিছু কমে গেছে। যার কারণে আমরা ৩ শিফটে কাজ করতে পারছি না।’

মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক বলেন, ‘শ্রমিকরা সকলেই বাড়িতে চলে গেছে। এখন আমরা তাদের নিয়ে আসা শুরু করেছি। আশা করি ১০-১৫ দিনের ভেতরে কাজ শুরু করা যাবে।’

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ভবিষতে ব্যয় বাড়লেও বাস্তবতা বিবেচনায় এখন মেগা প্রকল্পের কাজ ধীর করে আনা উচিত।

অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকারের যেহেতু এখন অনেক অনেক কাজের জন্য অর্থ খরচ করতে হচ্ছে, তাই আগামী অর্থ বছরের বাজেটে যদি ধীরেও কাজ চালানো যায় সরকারকে সেটিও ভাবা উচিত।’

১০ মেগা প্রকল্পে সরকারের মোট ব্যয় ৩ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা।

Leave a Reply