নোয়াখালীর ২৪ নারী গরু চুরি করতে গিয়ে স্বামীসহ গ্রেফতার

গরু পাচারের অভিযোগে নোয়াখালীর ২৪ জনকে বেধড়ক মার, মামলায় আক্রান্তরাই গ্রেফতার
গরু পাচার করার অভিযোগে ২৪ জনকে একসাথে বেঁধে, রাস্তায় হাঁটু মুড়ে, কান ধরে বসিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে ভারতের এক দল গোরক্ষক। রোববার মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার সাভালিকেড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে আক্রান্তদের বিরুদ্ধেই। গ্রেফতারও করা হয়েছে তাদের।


জানা যায়, আক্রান্তরা খান্ডোয়া, সেহোর, দেওয়াস ও হরদা জেলার বাসিন্দা। ২৪ জনের মধ্যে ছয়জন মুসলিম ছিলেন। আক্রান্তদের দাবি, মহারাষ্ট্রে পশু মেলায় গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। সাভালিকেড়া গ্রামে পৌঁছতেই এক দল গোরক্ষক তাদের ঘিরে ধরেন। তারা সংখ্যায় প্রায় ১০০ জনের মতো ছিলেন। গরু চুরির অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেন গোরক্ষকরা। তার পর দড়ি দিয়ে বেঁধে তিন কিলোমিটার তাদের হাঁটিয়ে খালোয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, হামলাকারীরা তাদের জোর করে ‘গো মাতা কি জয়’ বলতে বাধ্য করেন।

কাল্পনিক ছবি

জেলা পুলিশ সুপার শিবদয়াল সিংহ জানিয়েছেন, আক্রান্তরা মেলায় গরু নিয়ে যাওয়ার দাবি করলেও তেমন কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আক্রান্তদের কাছে কোনো বৈধ নথি ছিল না। এবং যে গাড়ি করে গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটারও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। মধ্যপ্রদেশ গোবংশ বধ প্রতিষেধ অধিনিয়ম-এ আক্রান্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে তাদের।


এই ঘটনায় হামলাকারীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।


এই মধ্যপ্রদেশেই গত মে মাসে গরুর গোশত নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। বার বার একই ঘটনা ঘটছে, তারপরেও দোষীরা ছাড় কী ভাবে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন।

Leave a Reply