পাগলী ধর্ষণের মূল হোতাকে গ্রেফতারের দাবীতে উত্তাল রূপগঞ্জ

পাগলী ধর্ষণের মূল হোতা লম্পট কসাই কহিনুরকে গ্রেফতারের দাবীতে গোটা রূপগঞ্জ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কসাই কহিনুরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। খুঁজে পায়নি হতভাগী পাগলীকে। সোমবার দুপুরে কাঞ্চন পৌরসভার আ’লীগের তিন নেতার সঙ্গে  ঢাকার একটি রেস্তোরায়কসাই কহিনুর গোপন বৈঠক করেছেন বলে কহিনুরের ঘনিষ্ট একটি  সূত্র নিশ্চিত করেছেন। কহিনুরকে বাঁচাতে ঐ তিন নেতা মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। 

 সূত্রে জানা গেছে,গত ৬ মে পাগলী ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা চট্রগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার শিবিরের ক্যাডারের অন্যতম শুট্যার ও অস্ত্র ব্যবসায়ী যুবদল নেতা কসাই কহিনুরকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। খুঁজে বের করতে পারেনি হতভাগী পাগলীকে। এদিকে, দুধর্ষ সন্ত্রাসী কসাই কহিনুরকে গ্রেফতারের দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রূপগঞ্জ। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কসাই কহিনুরকে গ্রেফতার করা না হলে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচী পালন করবে বলে আলটিমেটাম দিয়েছে। 

কসাই কহিনুরের ঘনিষ্ট একটি সূত্রমতে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে কাঞ্চন পৌরসভার তিন আওয়ামীলীগ নেতা কসাই কহিনুরের সঙ্গে ঢাকার একটি রেস্তোরায় গোপন বৈঠক করেছে। সেখানে কহিনুরকে বাঁচাতে ৩০ লাখ টাকার দফারফা হয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি আরো জানায়, কহিনুরকে বাঁচাতে ইতিমধ্যে ঐ তিন আওয়ামীলীগ নেতা আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। মরিয়া হয়ে উঠেছেন ধর্ষণের ঘটনা থেকে কহিনুরকে রেহাই দিতে। 

কাঞ্চন পৌর আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুবদলের একজন ক্যাডার কি করে আওয়ামীলীগের আমলে বীরদর্পে ঘুরে বেড়িয়েছে। শিবিরের ক্যাডার হয়েও গত দশ বছর এলাকায় ছিলো কিভাবে? কাদের শেল্টারে ছিলো কহিনুর সেটা কাঞ্চন পৌরবাসী সবাই অবগত। দলমত নির্বিশেষে সবাই চান এই লম্পট ও দুধর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হউক। 

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, কহিনুরকে গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। পাগলীকেও খোঁজা হচ্ছে।

Leave a Reply